বাংলাদেশের আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাফল্য

বাংলাদেশের আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাফল্য

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি উদাহরণ দেওয়ার মতোই। সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশ অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশির ভাগ সূচকে ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়াকে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যেকোনো সূচকের বিচারে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার কমে অর্ধেক হয়ে গেছে।

দেশজ আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমান সরকার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে জিডিপি ছিলো ৭২ বিলিয়ন ডলারেরও কম এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১০২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় অর্থাৎ ২০০৫-২০০৬ বছরের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি।

বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৫ দশমিক ১ শতাংশ যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৮ এ উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি একটি বিরল ঘটনা। ইতোপূর্বে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ হতে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হলেও বর্তমানে মাত্র ৭ বছরে তা ‍দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস-এর '২০৫০ সালের বিশ্ব' শীর্ষক বিশ্লেষণী প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন বছরগুলিতে যে তিনটি দেশ সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধি ধারা প্রদর্শন করবে তার অন্যতম হলো বাংলাদেশ।

এ প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী পরিমাপকৃত মোট দেশজ উৎপাদনের মানক্রমে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩১ তম; অর্থাৎ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৩১ তম বৃহৎ অর্থনীতি। প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বক্রমিক ধারায় ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উঠে আসবে ২৮তম স্থানে এবং ২০৫০ সালের বাংলাদশে হবে বিশ্ব অর্থনীতির ২৩তম শীর্ষ দেশ।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের আগেই নির্ধারিত লক্ষ্য আদায় করতে পারবে বাংলাদেশ।



//


from Blogger http://bit.ly/2Kl3eJH

Comments