সেবা ডেস্ক: সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আন্দোলন নাকি নির্বাচন! এই মুহূর্তে দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হওয়া উচিৎ তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
একদিকে দলের নেত্রী ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে আন্দোলনকেই মুখ্য হিসেবে দেখছেন দলের শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়াকেও উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তারা।
এ নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয় যেন কিছুতেই তাদের মধ্যে থেকে কাটছে না। ফলে কর্মকৌশল নির্দিষ্ট করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দলের নীতিনির্ধারকদের।
একাদশ সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। অথচ নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি বিএনপির। নির্বাচনের আগে আইনি প্রক্রিয়ায় চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত।
হাতে সময়ও কম। আগস্টে ঈদুল আজহা। নভেম্বরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা।
সবকিছু চিন্তা করে দ্রুত কর্মকৌশল ঠিক করতে চান তারা। এজন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এবার তৃণমূলের মত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। দলীয় নেতাদের মতের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ বিশিষ্টজনদের মতামতও নেবেন তারা।
এরপর হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবেন নীতিনির্ধারকরা। কর্মকৌশল চূড়ান্তের পাশাপাশি বাড়ানো হবে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু সবকিছু মিলে সিদ্ধান্তে আসতে যতটুকু সময় লাগবে দলটির হাতে ততটুকু সময় নেই।
এদিকে আগামীতে দল কী করবে এই ব্যাপারে অনেকটা অন্ধকারে তৃণমূল। নানা কারণে কেন্দ্রের ওপর তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। দফায় দফায় তৃণমূলে ঝড় বয়ে গেলেও কেন্দ্রের নজর নেই তাদের দিকে।
সম্প্রতি নির্বাচন এবং আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু বৈঠকে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে দ্রুত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার পক্ষে মতও দেয়। উভয় মতকে প্রাধান্য দিলেও নির্দিষ্ট কর্মকৌশলে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দলের নেতাদের।
কেননা, এর আগেও একাধিকবার ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই বেহাল অবস্থায় পৌঁছাতে হয়েছে বিএনপিকে।
তৃণমূল নেতাদের মতে, বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে হাইকমান্ডকে দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু যথাসময়ে নির্বাচন আদায় এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিএনপির সামনে এখন অনেক কাজ বাকি।
তাদের মতে, যেনতেন ইস্যুতে রাজপথে কর্মসূচি দিয়ে পুলিশের হাতে মার খাওয়ার দরকার নেই। বরং রাজপথের বাইরেও ঘরোয়া বৈঠক ও আলোচনা সভাসহ নানামুখী তৎপরতা বৃদ্ধি করে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করা সম্ভব।
সেদিকেই বিএনপির কেন্দ্রকে বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে। তাদের মতে, সংগঠন শক্তিশালী হলে নির্বাচনের সময় তা সত্যিই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠতে পারবে। কিন্তু সে রকম কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
//
from Blogger http://bit.ly/2mU2ulB
Comments
Post a Comment