প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা।।বাঁশখালীতে জায়গা বিরোধের জের পৌর কাউন্সিলরকে হয়রানির অভিযোগ
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা বিরোধের জের ধরে পৌর কাউন্সিলরকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৯ জুন) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বৈঠককালে তাকে অহেতুক ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাঁশখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ।
তিনি জানান, আমি ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালনরত আছি। আমার পিতা নির্মল দাশের লীজ ও মৌরশী ভূমিতে নির্মিত দোতলা একটি ভবনে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করিয়া আসিতেছি। সেখানে নিচের তলায় ভাড়াটিয়া এবং দোতলায় একটি রুমে আমার কার্যালয়। ২য় ও ৩য় রুমে আমি যৌথ পরিবার নিয়া বসবাস করি।
এই ভবনের বিদ্যুৎ বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, জমির খাজনাসহ সকল প্রকার কর খাজনাদি পরিশোধ করি। কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় ডাঃ নারায়ণ দাশ আমার উক্ত ভবনের পার্শ্ববর্তী জমি ও ভবনের মালিক দখলকার হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও ভবনটি দখল করার কু-মানসে আমার পরিবারকে নানান ভাবে হয়রানি করিয়া আসিতেছে।
আমি এ বিষয়ে ডা. নারায়ন দাশের বিরুদ্ধে সি.আর মামলা নং- ৪৩/২০১৭ ইং, ধারা- ১০৭/১১৭(সি) ও বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৩০/০৭/২০১৭ ইং তারিখ জি.ডি. নং- ১৬৭/২০১৭ ইং দায়ের করিলে এক পর্যায়ে ডা. নারায়ন দাশ আমাকে ভবনসহ উক্ত জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব করে।
কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। বর্তমানে পৌরসভার মেয়র বরাবরে আমাদেরকে প্রতিপক্ষ করে নারায়ন দাশ উক্ত জমি ও ভবন সংক্রান্তে অভিযোগ দায়ের করিলে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর পর ৩ বার সালিশী বৈঠক হওয়ার পরও পরবর্তী তারিখে রায়ের দিন ধার্য্য আছে।
কিন্তু ডা. নারায়ন দাশ তার চাহিদা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা না দেখিয়া বিগত গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডা. নারায়ন দাশ তার দলীয় লোকজন ও অপরিচিত ১০/১২ জন সহ লাঠি সোটা ও রাম দা নিয়া আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল তছনছ করে।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
//
from Blogger http://bit.ly/2IDydQf
Comments
Post a Comment