সেবা ডেস্ক: দিনাজপুর বাংলাদেশের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বছরে কমপক্ষে অতিরিক্ত ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য সারাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোর চাহিদা মেটায়। কিন্তু জাতীয় উন্নয়নের দিক থেকে দিনাজপুর বরাবরই অবহেলিত ছিল একসময়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু হয়। বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে উন্নয়নের মহাসড়কে। সেই ধারাবাহিকতায় এক সময়ের অবহেলিত এবং ক্ষুধার জনপদ হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরও উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। দিনাজপুরের উন্নয়ন এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দিনাজপুরে প্রত্যেকটা সেক্টরে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে সেই উন্নয়নের একজন সফল অংশীদার দিনাজপুর সদর অর্থাৎ দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ এবং মহান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
ইকবালুর রহিমের একান্ত প্রচেষ্টায় দিনাজপুর সদর উপজেলা এখন বাংলাদেশে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। দিনাজপুরে এত উন্নয়ন এর আগে অন্য কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
২৭ জুন বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ সালের বাজেটের উপর আলোচনা ও দিনাজপুরের উন্নয়নের উপর তথ্যচিত্র তুলে ধরেন দিনাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। মহান সংসদে তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
জাতীয় সংসদে ইকবালুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রুপকল্প ২০২১ দিন বদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী অসাম্প্রদায়িক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অর্জনের জন্য অভিনন্দনও জানান ইকবালুর রহিম।
সংসদে তিনি তার বক্তব্যে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, '২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিগত ১০ বছরে আমাদের অগ্রযাত্রা কেবল শক্তিশালী নয়, জনকল্যানও বটে। এই ১০ বছরে উন্নয়নশীল অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি যখন ৫ দশমিক ১ শতাংশ তখন আমাদের প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ'।
'দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। উন্নয়ন এবং অগ্রগতির সকল সুচকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবিাহিকতায় আমার দিনাজপুর আমার নির্বাচনী এলাকায় আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। এক সময় আমার দিনাজপুর মঙ্গা এলাকা ছিল। মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রনায় আর্তনাদ করতো। এখন আমার দিনাজপুরে ক্ষুধা নাই। কৃষকের অভাব নাই। সাধারন মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে'।
সবশেষে জাতীয় সংসদে দিনাজপুরের উন্নয়ন নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন ইকবালুর রহিম। ভিডিও চিত্র হতে জানা যায়, ইকবালুর রহিমের দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের ছোয়ায় বদলে গেছে দিনাজপুর। দিনাজপুরে যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রায় ৬২০ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা পাকা করা হয়েছে। দিনাজপুরের কৃষকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে রাবার ড্যামের সাহায্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৯৫৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩৪ টি মাদ্রাসা ও ৭৪টি কলেজ এর সমন্বয়ে দিনাজপুর এখন অত্যাধুনিক শিক্ষানগরী। এছাড়া দিনাজপুরে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
দিনাজপুরে নারীদের স্বাবলম্বী করতে নির্মাণ করা হয়েছে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এছাড়া সমাজের অবহেলিত হিজড়াদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে দিনাজপুরের হিজড়া পল্লী।
ইকবালুর রহিমের একাগ্রতা এবং সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নীতির আওতায় দিনাজপুর সদরের শতভাগ ঘর বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। দিনাজপুরবাসীর জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় দিনাজপুর সরকারী মেডিকেলের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় দিনাজপুরে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালয়।
দিনাজপুরের প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের পরম মমতায় আগলে রেখেছে শান্তি নিবাস পুনর্বাসন কেন্দ্র।
ভবিষ্যতে দিনাজপুরকে একটি শিল্পনগরী এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলার আশা ব্যক্ত করেছেন দিনাজপুর সদরের উন্নয়নের রূপকার বলে পরিচিত ইকবালুর রহিম এমপি।
বর্তমান সরকারের এমপি ইকবালুর রহিম এর হাত ধরে দিনাজপুর জেলায় যে উন্নয়ন সমূহ হয়েছে তা সত্যিকার অর্থে অন্য জেলা সমূহের জন্যে ঈর্ষণীয়ই বটে।
//
from Blogger http://bit.ly/2tNLH6L
Comments
Post a Comment