সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে সবসময়ই নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে আসছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সব সময়ে মাথা ঘামিয়ে রাজনীতিসহ সামাজিক বিষয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়া রাষ্ট্রে প্রমাণ করার কাজে সব-সময় লেগেই থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মত দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হয়।
অল্প সময়ে সরকারের বিশেষ অবদানে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, জনস্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে এগিয়ে আছে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা উদ্বেগজনক। তবে এই অপরাধ সবচে বেশি ঘটে যে ১০টি দেশে তার মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এই অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ধর্ষণের সংখ্যার হিসেবে পাঁচ নম্বরে আছে।
সম্প্রতি বিশ্বের কয়েকটি সংগঠন জঘন্য এই নারী নিগ্রহের ঘটনার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে ব্যুরো অব জাস্টিস স্ট্যাটিস্টিক্স, ন্যাশনাল ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন সার্ভার, কমিউনিটি অব ইনফরমেশন, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টস ব্যুরো এবং জাস্টিস ইন্সটিটিউট অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া।
তালিকার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসা ওয়াশিংটনের জন্য বিব্রতকর বটে। যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৯১ শতাংশ মহিলা ও অবশিষ্ট ৯ শতাংশ পুরুষ। প্রতি ৩ জনে একজন নারী ধর্ষিত হয়। ১৮ বছরের পূর্বে ৪০ শতাংশ নারী এখানে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে একজন ধর্ষিতা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১২-১৮ বছর বয়সী ২ লাখ ৯৩ হাজার শিশু-কিশোরীর ধর্ষিত হবার তথ্য পাওয়া গেছে। এখানে ৬৮ শতাংশ ধর্ষণের রিপোর্ট হয় না। ৯৮ ভাগ ধর্ষকের শাস্তি হয় না।
এমনকি কারাগারেও নারীদের স্বস্তি নেই। ২ লাখ ১৬ হাজার নারী প্রতিবছর কারাগারে ধর্ষিত হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশকে নারীদের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের অভূতপূর্ব সব পদক্ষেপে নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলনামূলক সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টা ও সামাজিক আন্দোলন এবং সুস্থ্য সংস্কৃতির বিকাশের কারণে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা প্রায় শুন্যের পর্যায়ে চলে আসছে।
যুক্তরাজ্যেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বিস্তর। তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৮৫ হাজার মহিলা ধর্ষিতা হন গ্রেট ব্রিটেনে। প্রতি বছর যৌন হয়রানির শিকার হন প্রায় ৪০ হাজার মহিলা। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়ালসে প্রতিদিন ২৩০ জন ধর্ষিত হয়। প্রতি ৫ জন নারীর একজন ১৬ বছরের আগেই ধর্ষিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে অপমৃত্যুর ঘটনায় এগিয়ে আগে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বন্ধুকধারীদের গুলি সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মৃত্যুর খবর আসে সংবাদ মাধ্যমে।
অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে অনেকটাই অপারগ যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রধারীরা স্কুল-কলেজ, মসজিদ-গির্জা, ক্লাব-পার্টিতে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। সরকার অবৈধ অস্ত্রধারীদের ঠেকাতে প্রায় অক্ষম। অথচ বাংলাদেশ সরকার জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
//
from Blogger http://bit.ly/2KwWcWl
Comments
Post a Comment