রৌমারী প্রতিনিধি
রৌমারীর বাগুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত সৃষ্টি হচ্ছে। অফিসের সকল কায্যক্রম চলছে পাশে একটি বাসায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালে ৩১ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ঐ গ্রামের মো. হাসন আলী নামের একজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নামে তার নিজস্ব জমি ওয়াকফ করে দেন। ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর নির্মান করে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করেন। কয়েক বছর আগে প্রবলঝড়ে ও বন্যার পানিতে বিদ্যালয়ের টিনের চাল ও বেড়া অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিদ্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কোন অনুদান না থাকায় পূনরায় ঘরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে এই ভাঙ্গা ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে রোদ কিংবা বৃষ্টিতে পাঠদান দেওয়া ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। আকাশে একটু মেঘ জমলেই ক্ষিার্থীদের ছুটি দিতে হয়। অপর দিকে বিদ্যালয়ের ভালো কোন অফিস কক্ষ না থাকায় যাবতীয় কার্য্যক্রম চলছে বাসায়। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, অফিসিয়ালি অনেক মুল্যবান কাগজপত্র থাকায় বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাসায় রাখা হয়েছে। এতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত রয়েছেন ৪জন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক মোছা. নাসরিন আকতার, মোছা. কল্পনা খাতুন, মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে সরকারি অনুমোদন পায়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯৬ জন। এবার সমাপনী পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৯জন। ২০১৭সালে সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিল ১৬জন। শতভাগ পাশ করার পাশাপাশি এ+প্লাস পেয়েছে ২জন।
বাগুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা মো.হাসন আলী জানান, দূর্গম এলাকা হওয়ায় আমি বিদ্যালয়ের নামে ৩১শতক জমি দিয়েছি। চরাঞ্চলের দরিদ্রপিরিত শিশুদের শিক্ষা অর্জন করার জন্য। সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বেশ ভালোই চলছে। এখানে দায়িত্বরত শিক্ষকগণ খুবই ভালো। তারা বাচ্চাদের সুন্দর করে পড়াশোনা করায়।
প্রধান শিক্ষক মো.শফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় পাঠদানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ভবন নির্মানের বিষয়ে প্রতি বছরে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা একাধিকবার এই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। তবুও কোন সুব্যবস্থা হয়নি। তবে এবার বিদ্যালয়টি সংস্কারের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (পিইডিপি) তয় পর্যায়ে একটি প্রকল্প ও স্লিপের ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম মোবাইল ফোনে জানান, ভবনের বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি একটা ব্যবস্থা হবে।
//
রৌমারীর বাগুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত সৃষ্টি হচ্ছে। অফিসের সকল কায্যক্রম চলছে পাশে একটি বাসায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালে ৩১ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ঐ গ্রামের মো. হাসন আলী নামের একজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নামে তার নিজস্ব জমি ওয়াকফ করে দেন। ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর নির্মান করে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করেন। কয়েক বছর আগে প্রবলঝড়ে ও বন্যার পানিতে বিদ্যালয়ের টিনের চাল ও বেড়া অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিদ্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কোন অনুদান না থাকায় পূনরায় ঘরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে এই ভাঙ্গা ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে রোদ কিংবা বৃষ্টিতে পাঠদান দেওয়া ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। আকাশে একটু মেঘ জমলেই ক্ষিার্থীদের ছুটি দিতে হয়। অপর দিকে বিদ্যালয়ের ভালো কোন অফিস কক্ষ না থাকায় যাবতীয় কার্য্যক্রম চলছে বাসায়। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, অফিসিয়ালি অনেক মুল্যবান কাগজপত্র থাকায় বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাসায় রাখা হয়েছে। এতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত রয়েছেন ৪জন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক মোছা. নাসরিন আকতার, মোছা. কল্পনা খাতুন, মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে সরকারি অনুমোদন পায়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯৬ জন। এবার সমাপনী পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৯জন। ২০১৭সালে সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিল ১৬জন। শতভাগ পাশ করার পাশাপাশি এ+প্লাস পেয়েছে ২জন।
বাগুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা মো.হাসন আলী জানান, দূর্গম এলাকা হওয়ায় আমি বিদ্যালয়ের নামে ৩১শতক জমি দিয়েছি। চরাঞ্চলের দরিদ্রপিরিত শিশুদের শিক্ষা অর্জন করার জন্য। সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বেশ ভালোই চলছে। এখানে দায়িত্বরত শিক্ষকগণ খুবই ভালো। তারা বাচ্চাদের সুন্দর করে পড়াশোনা করায়।
প্রধান শিক্ষক মো.শফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় পাঠদানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ভবন নির্মানের বিষয়ে প্রতি বছরে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা একাধিকবার এই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। তবুও কোন সুব্যবস্থা হয়নি। তবে এবার বিদ্যালয়টি সংস্কারের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (পিইডিপি) তয় পর্যায়ে একটি প্রকল্প ও স্লিপের ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম মোবাইল ফোনে জানান, ভবনের বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি একটা ব্যবস্থা হবে।
//
from Blogger http://bit.ly/2A9tUgP
Comments
Post a Comment