বুলবুলের নির্বাচনী ইশতেহারই কি খালেদার মুক্তি

বুলবুলের নির্বাচনী ইশতেহারই কি খালেদার মুক্তি



সেবা নিউজ ডেস্ক: এ মাসের ৩০ তারিখের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী এখন উৎসবের নগরী। রাজশাহী নগরী সেজেছে নির্বাচনী সাজে। ভোটারদের মন জয় করার লক্ষ্যে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। 

প্রার্থীরা দিয়ে যাচ্ছেন নানান রকম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ জন হলেও, ধারণা করা হচ্ছে মেয়র পদে মূল ভোটের লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত খায়রুজ্জামান লিটন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে।


চলতি মাসের গত ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পরপরই রাজশাহীকে আধুনিক, উন্নত ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন রাসিকের সাবেক সফল মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। পাশাপাশি তার নির্বাচনী ইশতেহারে নগরীর বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসকল সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন লিটন।


রাসিক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও এখনো পর্যন্ত রাজশাহীকে ঘিরে বুলবুল তার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কোনো ধরণের ইশতেহার প্রকাশ করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রকাশ করতে না পারায় বুলবুলের কর্মী-সমর্থকসহ নগরীর সাধারণ ভোটাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকের মতে বুলবুলের নির্বাচনী ইশতেহার না থাকায় ভোটাররা নগরী নিয়ে তার পরিকল্পনা জানার সুযোগ পাচ্ছেনা। ফলে ভোটাররা রাজশাহী নিয়ে বুলবুলের পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রকার ধোঁয়াশায় রয়েছে। এছাড়া ইশতেহার না থাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বুলবুলের কর্মী-সমর্থকদের। তাদের কাছে নগরী নিয়ে বুলবুলের পরিকল্পনা সম্পর্কে ভোটাররা জানতে চাইলে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না তারা। কারণ নির্বাচনী ইশতেহার না থাকায় বুলবুলের কর্মী-সমর্থকরাও বুলবুলের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। ফলশ্রুতিতে রাসিক নির্বাচনকে ঘিরে বুলবুলের জনসমর্থনে ভাটা পড়েছে।


এদিকে বুলবুল নিজে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশে নগরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা না বলে তিনি বেশিরভাগ সময়ই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার মুক্তি আন্দোলন নিয়েই বেশি কথা বলছেন। প্রসঙ্গত এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন।


এছাড়া উল্লেখিত কারণে জনসমর্থন না পেয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে দোষারোপ করে চলছেন বুলবুল। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত সহ কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারেননি বুলবুল।


এবারের রাসিক নির্বাচনে বুলবুলের কোনো নির্বাচনী ইশতেহার না থাকায় এবং বুলবুল তার নির্বাচনী প্রচারণায় বেশিরভাগ সময় খালেদার মুক্তির বিষয়ে কথা বলার কারণে স্বভাবিকভাবেই রাজশাহীবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে, তবে কি খালেদার মুক্তিই একমাত্র নির্বাচনী ইশতেহার বুলবুলের?
//


from Blogger http://bit.ly/2LFguKt

Comments