
সেবা ডেস্ক: এ মাসের ৩০ তারিখে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। নগরবাসীর মাঝে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট, পোস্টার। এরইমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৩৮ মামলার আসামি এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নির্দেশে এক সাবেক যুবলীগ নেতার দোকান ভাঙচুর করেছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে ২০ জুলাই বিকেলে নগরীর সুবিদ বাজার এলাকায় তারা এমন তাণ্ডব চালায়। শিবিরের কর্মীদের হামলার সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুবিদ বাজার এলাকায় জুম্মার নামাজের পর এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করছিলো শিবির ক্যাডাররা। এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরাও দলীয় প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রচারণা চালাচ্ছিলো। হঠাৎ জামায়াত-শিবির কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়।
পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বাক্যুদ্ধ থেকে সরে গিয়ে শিবির ক্যাডাররা ঘণ্টাখানেক পর ৭নং ওয়ার্ড শিবির সভাপতির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া দেয়। নির্বাচনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ছাত্রলীগ কর্মীরা সেখান থেকে সরে গেলে শিবিরের কর্মীরা সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নানের মালিকানাধীন মৌরসী রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে রেস্টুরেন্টের কাঁচ ও আসবাব ভাঙচুর করে তারা।
হামালার ব্যাপারে সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান বলেন, আমি তখন রেস্টুরেন্টে ছিলাম না। পরে শুনলাম, ৪টি মোটর সাইকেলে করে ৮/১০ জন শিবির সন্ত্রাসী এসে আমার রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করেছে। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছে ৭ নং ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি।
এ বিষয়ে সিলেট বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর হয়ে কাজ করা বিএনপির একজন নেতা বলেন, জুবায়েরের ইন্ধনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের এমন তৎপরতা খুবই দুঃখজনক। জুবায়ের আসলে নির্বাচন করতে আসেনি, ভয় দেখিয়ে নির্বাচনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে এসেছে।
//
from Blogger http://bit.ly/2mC5m6w
Comments
Post a Comment