
সেবা ডেস্ক: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সফলভাবে দেশ পরিচালনা করলেও সিলেটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদে সিলেটবাসী প্রত্যাশিত উন্নয়ন পায়নি।
নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তিনি। উন্নয়নের সেসব প্রতিশ্রুতি-অঙ্গীকার, কথার ফুলঝুরিতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।
আরিফুল হকের অদক্ষতা ও অসহযোগিতার কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের তৎপরতাও। আরিফুল হকের অপরিণামদর্শিতা ও অযোগ্যতার কারণে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে নতুন নতুন সমস্যা ঘিরে ধরেছে সিলেট নগরীকে। ক্রমেই প্রকট হচ্ছে, পানি, যানজট, গ্যাস সমস্যা।
দেখা গেছে, পরিকল্পিত মৌলিক উন্নয়ন পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওসমানী বিমানবন্দর এখনও নামেই আন্তর্জাতিক। শিল্পায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে সিলেট মহানগর। ক্ষমতায় বসেই লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেন আরিফুল।
দেখা গেছে, পরিকল্পিত মৌলিক উন্নয়ন পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওসমানী বিমানবন্দর এখনও নামেই আন্তর্জাতিক। শিল্পায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে সিলেট মহানগর। ক্ষমতায় বসেই লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেন আরিফুল।
আরিফুল হকের একপেশে মনোভাবের কারণে মহানগরীর অনেক জায়গায় খাবার পানির তীব্র সংকট, জলাবদ্ধতা, যানজট আর গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
আরিফুল হকের সন্ত্রাসী ও দখলদার বাহিনীরা অবৈধ ভাবে দখলে নিয়েছে নগরীর সব কটি নালা, খাল। খাল উদ্ধার না হওয়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই নগরীতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
নগরীর দক্ষিণ সুরমার তিনটি ওয়ার্ডে এখনও পানির কোনো সংযোগ নেই। নগরীর মাত্র ৪০ ভাগ নাগরিক পাচ্ছেন পানিসেবা। সন্ধ্যা নামলেই বাতিহীন নগরীর রাস্তাগুলো হয়ে ওঠে ভূতের গলি। আলো-আঁধারিতে ওঁত পেতে থাকা ছিনতাইকারী চক্র সেই সুযোগে তাদের কাজ সেরে নেয় নিরাপদে।
এদিকে সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এসব সম্পদের সদ্ব্যবহারের কোনো উদ্যোগ নেননি আরিফুল হক। সিলেটে পাথরের পাশাপাশি নুড়ি ও বালুর জোগান রয়েছে।
এদিকে সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এসব সম্পদের সদ্ব্যবহারের কোনো উদ্যোগ নেননি আরিফুল হক। সিলেটে পাথরের পাশাপাশি নুড়ি ও বালুর জোগান রয়েছে।
এসব সম্পদ কাজে লাগিয়ে সিরামিক ও কাঁচ শিল্পের কথা বলা হলেও এ ধরণের কোনো শিল্পই স্থাপনের পদক্ষেপ নেননি সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন।
সেই কাজেও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। টাকা খেয়ে অদক্ষ ও অপেশাদার ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে আরিফুলের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ে স্থাপিত ওসমানী শিশু পার্কটি এখন ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হয়েছে।
যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন আরিফুল। পৌরসভা থাকাকালীন পার্কটি ৬ মাসের জন্য লিজ দেয়া হয়েছিল। নগর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ৬ মাসের লিজ শেষ হয়নি এক যুগেও।
সিলেট সিটি করপোরেশনকে অথর্ব ও নখদন্তহীন বাঘে পরিণত করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হকের হেয়ালি ও দুর্নীতির কারণে সিলেট সিটি একটি ভোগান্তির নগরীতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে সিলেট মহানগরবাসী আরিফুল হকের উপর ত্যক্ত ও বিরক্ত।
সিলেট সিটি করপোরেশনকে অথর্ব ও নখদন্তহীন বাঘে পরিণত করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হকের হেয়ালি ও দুর্নীতির কারণে সিলেট সিটি একটি ভোগান্তির নগরীতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে সিলেট মহানগরবাসী আরিফুল হকের উপর ত্যক্ত ও বিরক্ত।
অতীত অপকর্মের জন্য আরিফুল হককে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
//
//
from Blogger http://bit.ly/2JHdTOB
Comments
Post a Comment