দ্বিগুন বরাদ্দ বেড়েছে বিমান পর্যটনে

দ্বিগুন বরাদ্দ বেড়েছে বিমান পর্যটনে

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ ২০৩৮ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হবে। তাই এ খাতের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।

বিগত কয়েক অর্থবছরের মধ্যে বিমান ও পর্যটন খাতে এবারই বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে ১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।

নিরাপদ বেসামরিক বিমান চলাচল, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা ও সেবা সুবিধা বাড়ানোর কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পিপিপি'র আওতায় খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজও প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানে সরকারের যথেষ্ট বিনোয়োগের শর্তেও আশানুরূপ প্রসার হয়নি। যে কারণে আলোচিত বাজেটে বাংলাদেশ বিমানকে বেসরকারি মালিকানাধীন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে হেলিক্প্টার সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে। উচ্চবিত্ত লোকজন এ সেবা গ্রহণ করে থাকে। ধীরে ধীরে এ সেবার প্রসার বাড়ছে। তাই হেলিকপ্টার সেবার ওপরে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০০৭ সালে ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ছয়টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে বিমানের বহরে। বাকি চারটি বোয়িং উড়োজাহাজ ২০১৯ সালের মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হবে।

দেশের পর্যটন খাতে আশানুরূপ সাফল্য পেতে হলে এর উন্নয়ন কর্মকান্ডে কোনো কমতি রাখা উচিত নয়। এ চিন্তা থেকেই বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে বিমান ও পর্যটনখাতে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুনহারে অর্থ বরাদ্দ করেছে।


//


from Blogger http://bit.ly/2Kr1yiv

Comments