প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গাজীপুরে হাসান উদ্দিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গাজীপুরে হাসান উদ্দিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সেবা ডেস্ক: এ মাসের আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রচার-প্রচারণাও তুঙ্গে। শেষ বেলায় গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপই বেশি। শেষ মূহুর্তে চুলচেরা বিশ্লেষনে ভোটাররা। রয়েছে আচরনবিধি লঙ্গনের অভিযোগও। এর সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশ্ন ফাসের বিষয় যা এখন সব শ্রেনীর ভোটারদের মুখে মুখে।

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টংগীর শফি উদ্দিন একাডেমি এন্ড কলেজ অন্যতম এবং এখান থেকেই বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাস হতো। এই প্রশ্ন ফাঁস থেকে যে মোটা অংকের টাকা আসত তার সিংহ ভাগ পেতেন এই মেয়র প্রার্থী। গাজীপুর সহ আশে পাশের জেলা গুলোতে প্রশ্ন ফাঁস করে সরবরাহ করতেন তার কর্মীরা।

জানা যায়, ২০১৫ সালের অনুষ্ঠিত এইচএসসিতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে টঙ্গীর হাসান উদ্দিন সরকার প্রতিষ্ঠিত সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় তখন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন-সফিউদ্দিন কলেজ শাখার জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল আনসার (৩১), বিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মশিউল ইসলাম (৪৫) ও অফিস সহকারী আবুল হোসেন (৫০)। এ ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বাদী হয়ে টঙ্গী মডেল থানায় পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯৮০ সনের ৪২নং আইনের ৪নং ধারায় একটি মামলা (নং-৮২) দায়ের করেছিলেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকারের চলমান উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করতেন হাসান সরকারের প্রতিষ্ঠান শফি উদ্দিন একাডেমী। পরে ফাসকৃত প্রশ্ন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতেন এই মেয়র প্রার্থীর লোকেরা। পরবর্তীতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসলে কিছুটা আড়ালে চলে যান তার সিন্ডিকেট। পুলিশ ও র‍্যারের যৌথ অভিযানে প্রশ্নফাসকারীরা আটক হলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তার নিয়ন্ত্রনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। তরুন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় ,মূলত গাজীপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধবংশ করতে ও সরকারের শিক্ষা উন্নয়নকে ম্লান করতেই হাসান সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন সিন্ডিকেট প্রশ্ন ফাঁস করতেন এবং ক্ষমতায় গেলে তারা আবার এই অপরাধটি চলমান রাখবেন বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

//


from Blogger http://bit.ly/2MjIFig

Comments