
সেবা ডেস্ক: প্রবাদ আছে দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। আর সে যদি সুজনের বেশে জনগণকে প্রতারিত করতে চায় তার দায়ভার কে নেবে? জনগণ নাকি যে মুখোশের আড়ালে সাধারণ জনগণকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সুবোধের বেশ ধারণ করে থাকে সে ? হ্যাঁ, এর দায়ভার অবশ্যই তাকে নিতে হবে যে মিথ্যাকে পুঁজি করে জনগণকে প্রতারিত করার মনোবাসনায় পূর্ণ থাকে। তবে এর দায় অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, অন্ধের মত কোন ব্যক্তির মিষ্টি কথায় না ভুলে সত্য জানার চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে।
বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী গাজীপুর এলাকায় নিজেকে আদর্শিক নেতা হিসেবে তুলে ধরলেও তার বিরুদ্ধে আছে হত্যা, নাশকতা ও ভাঙচুরের মত অভিযোগে মামলা। এসব মামলার কথা সকলেরই জানা। কিন্তু যা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে গেছে তা খোলাসা করার সময় এসেছে। তা নাহলে প্রতারিত হবে সাধারণ জনগণ।
সুরাইয়া আক্তার টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় যার বসবাস ছিল, এক সন্তান রেখে স্বামী মারা যাবার পর বিধবা হয়ে পথে পথে ঘুরেছেন একটি চাকুরীর আশায়। সময়কাল ২০১১ সাল। ভাগ্যক্রমে হাসান উদ্দিন সরকারের বাসায় গৃহপরিচারিকার চাকুরী মেলে তার। ভালোই যাচ্ছিলো এক সন্তান নিয়ে গৃহপরিচারিকার চাকুরী। কিন্তু সন্তান সন্তুতি ও নিজ স্ত্রী থাকবার পরেও হাসান সরকারের কুদৃষ্টি পড়ে তার ওপর। পরবর্তীতে হাসান সরকার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজগেট এলাকায় বাসা ভাড়া করে দেন সুরাইয়াকে। বছর খানিকের মাথায় সুরাইয়ার কোলজুড়ে জন্ম নেয় হাসান সরকারের কন্যা সন্তান। আর এর পর থেকেই সুরাইয়ার সাথে দেখা বন্ধ করে দেন হাসান। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুখ বন্ধ রাখেন সুরাইয়ার। হাসান উদ্দিন সরকারের কাছের কিছু মানুষের এ ঘটনা জানা।
এম এ মান্নানের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি কর্মীর সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুভয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি পালিয়েছে সুরাইয়া। আর নির্বাচনে হাসান উদ্দিনের প্রার্থিতার সম্ভাবনা চূড়ান্ত হবার পর সুরাইয়ার গ্রামে লোক মারফত মোটা অংকের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে হাসান উদ্দিন।
এমন এক নিকৃষ্ট ঘটনার জনক যিনি তার হাতে কি গাজীপুর শহর নিরাপদ থাকবে কিনা তা নিয়ে গাজীপুরবাসীর ভাববার সময় এখনই।
//
from Blogger http://bit.ly/2KgJK9D
Comments
Post a Comment